শনিবার, ৯ ফেব্রুয়ারী, ২০১৩

 সালাম সবাইকে।


উইন্ডোজ ৭ ট্রাবলশুট সমস্যা
কম্পিউটার ব্যবহারকারীরা বিভিন্ন সময় বিভিন্ন কারণে সমস্যায় পড়েন। যদি উইন্ডোজ ৭-এর কিছু অংশ অস্বাভাবিক আচরণ করতে থাকে এবং কেন এমন হচ্ছে তা আপনি বুঝতে না পারেন, তাহলে উইন্ডোজের নতুন ট্রাবলশুটিং প্যাকে অ্যাক্সেস করার জন্য Control Panel>Find and fix problems (or‘Troubleshooting’)-এ ক্লিক করুন। এগুলো খুব সহজ ও সাধারণ উইজার্ড, যা সমাধান করবে সাধারণ সমস্যা, সেটিং চেক করবে, সিস্টেম ক্লিনআপসহ ইত্যাদি কাজ করবে।

স্টার্টআপ রিপেয়ার
যদি আপনার উইন্ডোজ ৭ ডাউনলোড করা (অথবা ডাউনলোড করা না হয়ে থাকে) অপারেটিং সিস্টেম হয়, তাহলে ভালো হয় সিস্টেম রিপেয়ার ডিস্ক তৈরি করা। যদি কোনো কারণে পরবর্তী সময়ে ওএস বুটিংয়ে সমস্যা হয় তাহলে তা সমাধানের লক্ষ্যে Start>Maintenance>Create a System Repair Disc-এ ক্লিক করুন এবং উইন্ডোজকে একটি বুটেবল ইমারজেন্সি ডিস্ক তৈরি করার সুযোগ দিন। যদি আপনার অপারেটিং সিস্টেমে এ ধরনের খারাপ কিছু ঘটে থাকে তাহলে পিসিকে সচল করার এটিই একমাত্র উপায় হতে পারে।

ডিজ্যাবল করা স্মার্ট উইন্ডোজের বিন্যাস
উইন্ডোজের কিছু কিছু ফিচার বেশ আকর্ষণীয়ভাবে বিন্যাস করা হয়েছে, যেমন উইন্ডো। আপনি কোনো উইন্ডোকে ড্র্যাগ করে স্ক্রিনের ওপরে নিয়ে এলে তা ম্যাক্সিমাইজ হবে। এই নতুন সিস্টেমকে অনেকেই পছন্দ করেন। তবে কোনো ব্যবহারকারীর কাছে তা বিরক্তিকর মনে হতে পারে। ইচ্ছে করলে এ ধরনের ব্যবহারকারীরা উইন্ডোজ ৭-এর ফিচারকে ডিজ্যাবল করতে পারেন। এ জন্য ব্যবহারকারীকে Run REGEDIT চালু করতে হবে।
HKEY_CURREN_USER/Control Panel\Desktop কি-তে নেভিগেট করুন এবং WindowsArrangement lActive-কে O-তে সেট করুন। এর ফলে উইন্ডোজ আগের মতো আচরণ করবে।

উইন্ডোজ ৭-এ ড্রাইভ ডিসপ্লে¬ করা
উইন্ডোজ ৭-এ Computers-এ ক্লিক করলে ড্রাইভ দেখা যায় না, তবে এতে উদ্ভিগ্ন হওয়ার কিছু নেই। কেননা মাইক্রোসফট সবসময় চেষ্টা করে ব্যবহারকারীদের সহায়ক হতে। ড্রাইভ মেমরি কার্ড রিডারের মতো আর ডিসপ্লে¬ হবে না যদি সেগুলো খালি থাকে। এ বিষয়টিকে অনেকের কাছে উইন্ডোজের উন্নয়ন মনে হয় না। তাই ইচ্ছে করলে খালি ড্রাইভকে ডিসপ্লে¬ করাতে পারেন। এজন্য এক্সপ্লোরার রান করিয়ে Tools>Folder Options>View-তে ক্লিক করে ‘Hide empty drives in the computers folder’-এ ক্লিক করতে হবে।

পিসিকে করে তুলুন আরো গতিময়
আপনি পিসিকে আরো গতিময় করে তুলতে পারবেন ছোট কিছু কৌশল ব্যবহার করে। এর জন্য অতিরিক্ত কোনো সফটওয়্যার ব্যবহারও করতে হবে না। ছোট কিছু কৌশল ব্যবহার করে খুব সহজে পিসির গতি কিছুটা হলেও বাড়িয়ে তুলতে পারবেন। নিচের কিছু কৌশল আপনাদের কাছে তুলে ধরা হলো।
অযাতিত, অপ্রয়োজনীয় ফাইল ডিলিট করা
কাজ করার সময় অনেক অপ্রয়োজনীয় ফাইল তৈরি হয়, যেগুলো ডিলিট করার ব্যবস্থা থাকে না। তাই এগুলো ম্যানুয়ালি ডিলিট করতে হবে। নিচের নিয়ম অনুসরণ করে কাজটি খুব সহজেই করতে পারবেন।
* run>eventvwr>select application, system, microsoft office sessions >action>clear all events>no
* run>prefetch>ok>ctrl+A>shift+ delete
* run>%temp%>ok>select all>shift+ delete
* run>temp>ok>select all>shift+delete
* run>cleanmgr>select drive>ok
* run>recent>ok>select all>shift+ delete
* search>.tmp, .old>ok>ctrl+A>shift+delete.
* F3>.bac, .bak, .bck, .bk!, .bk$>ok>ctrl+A>shift+delete.
** ভালোভাবে দেখে .tmp, .old, .bac, .bak, .bck, .bk!, .bk$ ফাইলগুলো ডিলিট করবেন।
অতিরিক্ত ফন্ট ডিলিট করা
উইন্ডোজ সব ফন্টই স্টার্টআপের সময় মূল মেমরিতে নিয়ে নেয়। ফলে বুটটাইম বেড়ে যায়। run>fonts-এ গিয়ে অপ্রয়োজনীয় ফন্টগুলো ডিলিট করে দেয়া যায়।
তবে সিস্টেম ফন্ট নিয়ে তালগোল পাকানো ঠিক নয়। সিস্টেম ফন্টের লিস্ট আপনি খুঁজে নিতে
পারেন এখান থেকে http://www.microsoft. com/ typography/default.mspx।
অটো প্লে বন্ধ করা
কম্পিউটারে ভাইরাস ছড়ানোর জন্য প্রধানত দায়ী পেনড্রাইভ। যখন কম্পিউটারে পেনড্রাইভ লাগানো হয়, তখন অনেক সময় পেনড্রাইভ অটো ওপেন হয়ে যায়। ফলে ভাইরাস ছড়িয়ে পড়ে আর কম্পিউটার স্লো করে ফেলে। তাই অটো প্লে বন্ধ করতে হবে।
Run>gpedit.msc>enter>user configuration>administrative templates>system>turn off auto play>enable>all drive>ok. (এই ট্রিকস Windows 7-এর জন্য প্রযোজ্য নয়।)

সিস্টেম রি-স্টোর
উইন্ডোজের আগের ভার্সনের সিস্টেম রি-স্টোর ফিচারটি ছিল অনেকটা ঝুঁকিপূর্ণ। কেননা, এতে জানার কোনো উপায় ছিল না কোন ড্রাইভ বা অ্যাপ্লিকেশন আক্রান্ত হয়েছে। তাই আপনাকে শুধু চেষ্টা করে দেখতে হয়।
এক্ষেত্রে উইন্ডোজ ৭ ভিন্ন। মাউসে ডান ক্লিক করে Properties>System Protection>System Restore>Next সিলেক্ট করতে হবে এবং আপনার কাঙ্ক্ষিত রি-স্টোর পয়েন্ট বেছে নিতে হবে, যা আপনি ব্যবহার করবেন। এবার নতুন বাটন Scan for affected programs-এ ক্লিক করলে উইন্ডোজ বলে দেবে কোন প্রোগ্রাম এবং ড্রাইভ ডিলিট হবে বা, রি-স্টোর পয়েন্ট সিলেক্ট করার মাধ্যমে রিকোভার হবে।

পাওয়ার ইফেসিয়েন্সি রিপোর্ট পাওয়া
যদি আপনার ল্যাপটপ থাকে তাহলে পাওয়ার ইফেসিয়েন্সি ক্যালকুলেটর ব্যবহার করতে পারেন, যাতে উইন্ডোজ ৭ পাওয়ার কনজাম্পশন লোড জেনারেট করতে পারে। ফলে পাওয়ার কনজাম্পশনের ওপর প্রয়োজনীয় তথ্য পাওয়া যাবে। এই তথ্য যথাযথভাবে ব্যবহার করতে পারলে ব্যাটারির আয়ু যেমন বাড়াতে পারবেন, তেমনি বাড়াতে পারবেন পারফরম্যান্স। এ কাজটি করতে চাইলে আপনাকে অবশ্যই অ্যাডমিনিস্ট্রেটর হিসেবে কমান্ড প্রম্পট চালু করতে হবে। এজন্য Start Search-এ গিয়ে cmd টাইপ করে এন্টার চাপতে হবে। যখন cmd আইকন আবির্ভূত হবে তখন এতে ডান ক্লিক করে অ্যাডমিনিস্ট্রেটর হিসেবে Run বেছে নিন।
এরপর কমান্ড লাইনে Powercfg>energy টাইপ করে এন্টার চাপুন। এর ফলে উইন্ডোজ ৭ আপনার সিস্টেম স্ক্যান করে পাওয়ার ইফেসিয়েন্সি উন্নত করার উপায় বের করার চেষ্টা করবে। এরপর এইচটিএমএল ফাইলে এর ফল প্রকাশ করবে। এই ফাইলটি সাধারণত সিস্টেম ৩২ ফোল্ডারে থাকে। এই রিপোর্ট পাওয়ার জন্য পথ অনুসরণ করে এগিয়ে যেতে হবে।

Tagged:

0 মন্তব্য(গুলি):

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

Recent Comments